দিঘা থেকে জলপাইগুড়ি – জগন্নাথধাম উদ্বোধনে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা ও জায়ান্ট স্ক্রিনে রাজনীতির নতুন বুনন

জলপাইগুড়ি : অক্ষয়তৃতীয়ার পবিত্র লগ্নে দীঘার সমুদ্রতটে রাজ্যের নব নির্মিত জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন যেন হয়ে উঠল শুধুমাত্র ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক নয়, বরং হয়ে উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন প্রচার-পথের সূচনা।

দিঘায় অনুষ্ঠিত মহাযজ্ঞ, আচার-অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য আর তার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল কয়েকশো কিলোমিটার দূরের জলপাইগুড়ি শহরেও। শহরের থানা মোড় এবং কদমতলায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হবে, যাতে আগামীকাল সাধারণ মানুষ দীঘার অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

মঙ্গলবার জেলা পরিষদ ভবনের সামনের প্রজেক্টরে দীঘার ধর্মীয় মহাযজ্ঞের দৃশ্য যখন ভেসে উঠছে, তখন শহরের রাস্তায় শহরবাসী মেতে উঠেছে শোভাযাত্রায়। সমাজপাড়া থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান পাপিয়া পাল, উপ পুরপ্রধান সৈকত চ্যাটার্জী সহ একাধিক নেতাকর্মী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন এইধরনের ‘মেগা ইভেন্ট’-নির্ভর সাংস্কৃতিক প্রচারে এগিয়ে থাকত বিজেপি। এবার তৃণমূল বুঝিয়ে দিল—তাদের হাতেও রয়েছে সংস্কৃতি, জনসংযোগ আর আঞ্চলিক আবেগের জোরালো হাতিয়ার। জগন্নাথধাম শুধু এক স্থাপত্য নয়, তার অন্তরালে তৈরি হচ্ছে ভোটের মাঠে জেতার লড়াইয়ের নতুন সমীকরণ।

টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন ব্যানার্জীর কথায়, “এই অনুষ্ঠান শুধু উদ্বোধন নয়, রাজ্যের গর্ব। জলপাইগুড়ির মানুষকে সেই গর্বের অংশীদার করতেই এই সরাসরি সম্প্রচার।”

জগন্নাথধামের উদ্বোধন তাই শুধুমাত্র একটি কেন্দ্র উদ্বোধনের গল্প নয়—এ এক সাংস্কৃতিক আবরণে মোড়া রাজনৈতিক প্রচারের সূক্ষ্ম পরিকাঠামো। সময় বলবে এই কৌশল কতটা কার্যকর, তবে আপাতত দীঘা থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত তৃণমূলের বার্তা স্পষ্ট—সংস্কৃতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজনীতির পথও প্রশস্ত করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *