ময়নাগুড়ি: সোমবার শিলিগুড়ি-ধুপগুড়ি রোডে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক পথ দুর্ঘটনা। ময়নাগুড়ির চুড়াভান্ডার সংলগ্ন এলাকায় লরির পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স। মুহূর্তের মধ্যে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল, দুমড়ে মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে।

অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী, তার পরিবারের সদস্যসহ চালক ও সহকারী গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা ঘটনার ভয়াবহতা বুঝে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে এবং অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে আহতদের বের করে আনেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়।

পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মীরা দ্রুত পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। পরে আসে আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স। তৎপরতার সঙ্গে আহতদের তোলা হয় সেই অ্যাম্বুলেন্সে। স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত পাঠানো হয় ময়নাগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। দুই জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু পুলিশ ও ট্রাফিক কর্মীদের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসনের প্রতি। তাদের দাবি, এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নিয়মিত ব্যারিগেট এবং পুলিশি টহলের ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল। তাদের মতে, সতর্কতা ও তৎপরতা থাকলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
ঘটনাস্থলে মানুষের চোখে জল, মুখে আতঙ্ক—কিন্তু সেই সঙ্গেই ছিল এক টুকরো মানবিকতা। অচেনা আহতদের পাশে দাঁড়িয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের বাঁচাতে ছুটে এসেছেন যাঁরা—তাঁদের জন্যই হয়তো এই সমাজ এখনও বেঁচে আছে।