জলপাইগুড়ি, ৩১ মে : শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে এবার আরও একধাপ এগোল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। বাড়িভাড়া নেওয়া ব্যক্তিদের তথ্য এবার থেকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ভিনরাজ্য থেকে আসা ব্যবসায়ীদের পরিচয় যাচাই এবং তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ চলছে জোর কদমে।

শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরের কোতোয়ালি থানার তরফে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ব্যবসায়ীদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কখনও তাঁরা জুতো, কখনও আবার খেলনা বা ঢোল বিক্রি করছেন শহরের অলিতে গলিতে। পুলিশ তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখছে। কোথায় তাঁরা থাকছেন, সেসব বাড়ির মালিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই ব্যবসায়ীরা খারাপ উদ্দেশ্যে এসেছেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। তবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের পরিচয়পত্র যাচাই করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।”
জেলাজুড়ে ভাড়াটিয়াদের তথ্য ডিজিটাল ফর্মে সংরক্ষণের জন্য চালু হয়েছে একটি বিশেষ অ্যাপ। এর মাধ্যমে বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় থানা ও প্রশাসনের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেস থাকবে।
জলপাইগুড়ি শহরের এক দোকানদার বললেন, “বাইরের রাজ্য থেকে যে কেউ শহরে এসে ব্যবসা করছেন, সেটা খারাপ নয়। তবে কে কোন উদ্দেশ্যে এসেছে, সেটা আগে জানাটা দরকার। পুলিশ যা করছে, সেটা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।”
এখনও পর্যন্ত ১০-১২ জন ব্যবসায়ীকে থানায় এনে পরিচয় যাচাই করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই শহর সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে ভাড়া থাকছেন। স্থানীয় থানা সহ অন্যান্য রাজ্যের থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের রেকর্ড যাচাই করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনও সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তা ও সচেতনতা—এই দুইয়ের সমন্বয়ে এগোচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের কার্যকলাপ সম্পর্কে আগেভাগে জানতেই এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক সময়োচিত ও ইতিবাচক পদক্ষেপ।