জলপাইগুড়ি : শহরের খাবারের মান নিয়ে ফের উঠল বড়সড় প্রশ্ন। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক রেস্তোরাঁ, ফাস্ট ফুড দোকান ও মিষ্টির দোকানে হানা দিল সাব-ডিভিশনাল ফুড সেফটি কমিটি ও কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স দফতর। অভিযানে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য—কোথাও রেস্তোরাঁর ফ্রিজে মজুত পচা মাছ-মাংস, কোথাও আবার শিঙাড়া-কচুরিতে খাবার সোডার বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর কেমিকেল সোডা।

শহরের এক মিষ্টির দোকানে রান্নাঘরেই দেখা যায়, সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে কেমিকেল সোডা। ওই দোকানের সামগ্রী নষ্ট করে দেন আধিকারিকরা। আর এক রেস্তোরাঁর কিচেনে গিয়ে চোখে পড়ে জঞ্জাল পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি ফ্রিজে ছিল দুর্গন্ধযুক্ত মাছ-মাংস। সেগুলিও নষ্ট করে দেন দপ্তরের আধিকারিকরা।

শহরের অন্য এলাকার এক রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে গিয়ে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে—খাবারের মান যদি ঠিকই থাকে, তাহলে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার প্রয়োজনই বা কী?

দিনের আলোয় অভিযানের বাইরে রয়ে যাওয়া ফুড স্টল, বিকেলের ব্যস্ত সময়ের মিষ্টির দোকানগুলোতেও এদিন নজরদারি চালানো হয়। বেশ কিছু দোকান স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখলেও, অনেক দোকানে এখনও হাইজিন বজায় না রাখার ছবি উঠে এসেছে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড বিজনেস প্র্যাক্টিস দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবাশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, “খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতেই এই অভিযান লাগাতার চলবে। অনেক দোকান ইতিমধ্যেই নিজেদের মান উন্নত করেছে, যা প্রশংসনীয়। তবে যাঁরা এখনও নিয়ম মানছেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফুড সেফটি দপ্তরের এই অভিযান আগামীদিনেও চলবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই শহরের প্রতিটি খাবারের দোকানে চলবে কড়া নজরদারি।