অভিযুক্তের ফাঁ*সির রায়—জলপাইগুড়ি আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার পেল পরিবার

অভিযুক্তের ফাঁসির রায়—জলপাইগুড়ি আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার পেল পরিবার

জলপাইগুড়ি, ১১ জুন: অবশেষে ন্যায়বিচার পেল ধূপগুড়ির সেই নাবালিকার পরিবার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ির জেলা ও দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট। বুধবার বিচারক রিন্টু সুর এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

ধূপগুড়ি থানা এলাকার এক প্রতিবেশী যুবক, কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের পর তার দেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ এবং অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়।

মোট ১৬ জন সাক্ষীর বয়ান, ফরেনসিক প্রমাণ ও তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ ঘোষিত রায়ে বলা হয়— ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ₹৫,০০০ জরিমানা। অনাদায়ে ২ মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড

এদিন আদালত চত্বরেই কান্না-মিশ্রিত স্বস্তি প্রকাশ করেন নাবালিকার বাবা। তাঁর কথায়— “আমার মেয়েটার আত্মা আজ শান্তি পেল। আমরা চাইছিলাম এর উপযুক্ত সাজা হোক।”

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন— “এটা সমাজের কাছে একটি বার্তা। এমন অপরাধ করলে কঠিন শাস্তিই অপেক্ষা করবে।”

সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত জানান— “এই রায় শুধু একটি পরিবার নয়, গোটা সমাজকে আশ্বস্ত করবে। আদালত খুব সংবেদনশীলতার সঙ্গে দ্রুত বিচার করেছে।”

এই রায়ের মধ্য দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা আদালত আরেকবার প্রমাণ করল, নারী ও শিশুর প্রতি নৃশংসতা রুখতে আইনের হাত কতটা দৃঢ় হতে পারে। একইসাথে, সমাজে সচেতনতা এবং দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিল এই মামলার রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *