নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরের তিন ও চার নম্বর রেল ঘুমটিতে উড়াল পুলের দাবি শহরবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি নিয়ে আবারও সরব হল জলপাইগুড়ি নাগরিক মঞ্চ। এই দাবির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরের রেলওয়ের কিছু উন্নায়ন মুলক কাজের খসরা তারা জলপাইগুড়ির সাংসদের হাতে তুলে দিলেন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায় জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনে কিষাণ রেলের সুচনা করতে আসেন, সেই সময় জলপাইগুড়ি রেলওয়ের উন্নয়ন মূলক একগুচ্ছ কাজের দাবি তুলে স্মারকলিপি আকারে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ।

জলপাইগুড়ি নাগরিক মঞ্চের পক্ষে প্রমোদ কুমার মন্ডল বলেন, জলপাাইগুড়ি শহরে রেলওয়ের আটটি ঘুমটি আছে। সেই ঘুমটিগুলি দিয়ে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে প্রতিদিনই যাতায়াত করতে হয়। তাদের সুবিধার্থে যদি এই ঘুমটিগুলিতে রেলওয়ে দপ্তরের উদ্যোগে উড়াল পুল ( আর .বি. ইউ ) করা হয় । তাহলে সাধারণ মানুষের চলাফেরা করতে ভাল সুবিধা হবে এবং শহরের গুরত্বপূর্ণ ঘুমটিগুলিতে যানজট সমস্যাও থাকবে না বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে একই দিনে ময়নাগুড়ির দোমহনী ষ্টেশনকে মাল্টিজংশন গড়ে তোলার দাবি তোলেন ময়নাগুড়ি নাগরিক চেতনা মঞ্চ ও জলপাইগুড়ি নাগরিক মঞ্চ। তাদের যৌথ উদ্যোগে তাদের পক্ষ থেকেও দোমহনী ষ্টেশন মারফত রেলওয়ে আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় । তাদের দাবি এক সময় এই দোমহনী ষ্টেশন রেলওয়ে জংশন ছিল। এখন সেই অবস্থা নেই। আমরা চাই এই রেল ষ্টেশনকে পুনরায় মাল্টি জংশন রূপে গড়ে তোলা হোক। কারণ এই ষ্টেশন ভৌগলিক দিক থেকে যোগাযোগের মধ্যমনি আছে। এই ষ্টেশন দিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা, চ্যাংরাবান্ধা হয়ে লাটাগুড়ি , মালবাজার হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া যায়। অন্যদিকে অন্যান্য রাজ্যের সাথে কোলকাতা , শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি , আলিপুরদুর্যার হয়ে আসাম সহ বিভিন্ন জায়গার সাথে রেলের যোগাযোগ আছে। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে এই দোমহনী ষ্টেশনে রেলওয়ে পর্যটন হাব গড়ে উঠতে পারে। তাই আমরা চাই এই এলাকায় প্রায় চারশো বিঘা জমি পড়ে আছে তা এই কাজে ব্যবহার করা হউক। এতে একদিকে যেমন কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে, অন্যদিকে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে তিনি জানান।