জলপাইগুড়ি, ২৮ জুন: শহরের পান্ডাপাড়ার সাত নম্বর গলি আজ সকালে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনায়। এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ছড়াল চাঞ্চল্য। শোয়ার ঘর থেকে স্বামী সানি রাউতের (৩৫) ঝুলন্ত দেহ এবং বিছানায় স্ত্রী নন্দিনী রাউতের (৩০) নিথর দেহ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
জানা গেছে, সকালবেলা মৃতার মা বাড়িতে এসে বিষয়টি প্রথম প্রত্যক্ষ করেন। তাঁরা কান্নাকাটিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ভিতরে ঢুকে তারা দেখেন, ঘরের এক প্রান্তে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে সানির দেহ, আর বিছানায় স্তব্ধ পড়ে রয়েছেন নন্দিনী। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, দাম্পত্য কলহ থেকেই ঘটে থাকতে পারে এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরে সানি ও নন্দিনীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। অনুমান করা হচ্ছে, রাতে কোনও সময় স্ত্রীর সঙ্গে বচসা চরমে পৌঁছনোর পর হয়তো স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সানি।
ভিডিওতে শুনুন বক্তব্য
তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনও চূড়ান্ত মন্তব্য করা হয়নি। তদন্তের প্রয়োজনে দু’টি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে পারিবারিক সদস্য ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় সবচেয়ে করুণ দিক হলো, মৃত দম্পতির দুটি নাবালক সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময় তারা ছিল তাদের মাসির বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল দে বলেন, “সকালবেলায় খবর পাই, পরে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করেছে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায়, জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। সবদিকই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।”
বক্তব্য : শৌভনিক মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।