জলপাইগুড়ি, ৩০ জুন: দীর্ঘ দশ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে পুনরায় চালু হল জলপাইগুড়ির নর্থ বেঙ্গল টি অকশন সেন্টার। ২০১৪ সালে চায়ের ঘাটতির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই চা নিলাম কেন্দ্র। আজ ফের তার নবজাগরণ। জেলার চা চাষী, কারখানা মালিক থেকে প্রশাসন—সকলের মুখে হাসি।

চা নিলাম কেন্দ্রের পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডা. জয়ন্ত কুমার রায়। তাঁর প্রচেষ্টায় দিল্লির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় চা পর্ষদ কেন্দ্রটি পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।

আজ, ৩০ জুন, আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল জলপাইগুড়ির চা নিলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ডা. জয়ন্ত কুমার রায়, বিধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার বর্মা, ভারতীয় চা পর্ষদের ডেপুটি ডিরেক্টর কমলচন্দ্র বৈশ্য, চা নিলাম কেন্দ্রের সহ-সভাপতি পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স চেয়ারম্যান সঞ্জয় ধানুটি সহ অন্যান্যরা।

সঞ্জয় ধানুটি বলেন, “আজকের এই পুনরুজ্জীবন কেবল একটি নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ার ঘটনা নয়, বরং আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল। বহুজনের মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই দিনটি দেখতে পেরেছি।”
পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত জানান, “২০১৪ সালের পর আজ ফের চা নিলামের আওয়াজ শুনতে পেল জলপাইগুড়ি। এটা গর্বের মুহূর্ত।”

সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “এটা জলপাইগুড়ির জন্য ঐতিহাসিক দিন। নিলাম কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে এখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।”
বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “এই নিলাম কেন্দ্র চালুর ফলে জেলার ক্ষুদ্র চা চাষীদের স্বস্তি ও ভবিষ্যতের আশ্বাস মিলবে। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
নর্থ বেঙ্গল টি অকশন সেন্টার চালু হওয়ায় এলাকার চা শিল্প, ক্ষুদ্র চা চাষী ও কর্মসংস্থানের পরিধি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশাসন, উদ্যোক্তা ও চা চাষীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা উত্তরবঙ্গের চা শিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলির মধ্যে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা জলপাইগুড়িকে চায়ের মানচিত্রে আবারও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করল।