জলপাইগুড়ি, ১২ জুলাই : শনিবার সকালে হঠাৎই ত্রস্ত সংশোধনাগার কর্মীরা – জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের একটি পাইপের ভেতর থেকে বের হতে দেখা যায় নড়াচড়া। খবর পেতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরি।
তিনি পাইপের ভিতর খুঁজে পান একে একে ৮টি বিষধর স্পেকট্যাকল কোবরা সাপের ছানা! স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় সংশোধনাগার চত্বরে।
বিশ্বজিৎ বাবু জানান, “এই প্রজাতির সাপ সাধারণত ২৫টি ডিম পাড়ে, যার মধ্যে প্রায় ২৩টির মতো ছানা ফুটে বের হয়। আজ ৮টি উদ্ধার করেছি। সম্ভবত মা সাপটি আগেই স্থান ছেড়ে গিয়েছে।”
সংশোধনাগার চত্বরে এমন জায়গায় যেখানে আদ্রতা ও আশ্রয়ের সুবিধা মেলে, সেখানে সাপ ডিম পাড়ে এবং থেকে যায়। ফলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকার ও নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল—শহরের বুকেও বন্যপ্রাণের অস্তিত্ব ও গুরুত্ব আজও কতটা প্রবল! এবং তাদের সঙ্গে সহাবস্থান করতে গেলে চাই সচেতনতা ও সুরক্ষা।
বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরি, পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরি বলেন, “সাধারণ মানুষকে বলব, ভয় পাবেন না, সচেতন থাকুন। সাপ দেখলে মেরে ফেলবেন না, বরং আমাদের মতো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে গেলে এমন উদ্যোগ ও সতর্কতাই এখন সময়ের দাবি।