
জলপাইগুড়ি, ২০ জুলাই : শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হল জল্পেশের ঐতিহ্যবাহী শ্রাবণী মেলা। আজ সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন জল্পেশ মন্দির প্রাঙ্গণে। উদ্দেশ্য একটাই—তিস্তার জল দিয়ে মহাদেবের মাথায় অর্ঘ্য দেওয়া।

ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, গেরুয়া বসনে তিস্তা নদীতে পবিত্র স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা হাতে জল নিয়ে প্রায় ১৮ কিমি পথ হেঁটে পৌঁছন জল্পেশ মন্দিরে। সেই পথেই গড়ে উঠেছে এক অনন্য ভক্তির লালপথ।

এমন বিপুল জনসমাগমকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে জেলা প্রশাসন। তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে বিশেষ স্নান ঘাট, যেখানে স্পিড বোট ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, তিস্তা ঘাট থেকে জল্পেশ মন্দির পর্যন্ত পথজুড়ে তৈরি করা হয়েছে একাধিক পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র।

এদিন বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গনপত নিজে ঘাট এলাকায় পৌঁছে পরিদর্শন করেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনি জানান, “পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। সমস্ত বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। কোথাও যেন কোনও সমস্যা না হয়, সেইদিকে আমরা বিশেষ নজর রাখছি।”
ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্মিলন ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই শুরু হল জল্পেশের শ্রাবণী মেলা, আর পুণ্যার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি-তিস্তা-পথ।