জলপাইগুড়ি : চাকরির প্রলোভনে ভয়ঙ্কর মানব পাচার চক্রের জাল ছিঁড়ে ৫৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করল রেল পুলিশ। এনজেপি স্টেশন থেকে তামিলনাড়ুর নাম করে বিহারের উদ্দেশ্যে পাচারের ছক বানচাল করে এক মহিলা ও এক যুবক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্ত হল চন্দ্রিমা কর, শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম মেন রোডের রাধা গোবিন্দপল্লির বাসিন্দা এবং জিতেন্দ্র কুমার পাসওয়ান, উত্তর ২৪ পরগণার ভোটপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে তোলা হলে, পুলিশ পক্ষ থেকে ৭ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক শেষমেশ ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “যুবতীদের কাজের লোভ দেখিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। রেল পুলিশের তৎপরতায় ওই দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা গেছে। এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এই চক্রে আর কারা কারা যুক্ত আছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডুয়ার্স সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৬ জন যুবতীকে বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুতে কাজের সুযোগের লোভ দেখিয়ে এনজেপিতে আনা হয়। তাদের হাতে ট্রেনের কোচ ও সিট নম্বর লিখে দেওয়া হয়েছিল। তারা সবাই পাটনাগামী ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসে উঠছিল, সেখান থেকেই রেল পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি।
ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে আরও বিস্তৃত চক্রের যোগসূত্র। এখন দেখার, পাচারচক্রের পেছনে থাকা মূল চক্রীরা কবে পুলিশের জালে ধরা পড়ে।