জলপাইগুড়ি, ২৯ আগস্ট: ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফেরা হলো না টোটো চালক শীতল রায়ের। নিখোঁজ থাকার একদিন পর শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার খড়িয়া অঞ্চলে রেলপথের ধারে ঝোঁপ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, পাশাপাশি উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় মাহুতপাড়া থেকে তিন যাত্রীকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন শীতলবাবু। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। উদ্বিগ্ন পরিবার কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করে।
এদিন ঝোঁপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর ছড়াতেই এলাকায় ভিড় জমে যায়। তৃণমূল ই-রিকশা ইউনিয়নের সভাপতি পূণ্যব্রত মৈত্র জানান, “২৮ তারিখ সকাল দশটা পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। এরপর থেকেই ফোন বন্ধ। আজ দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই এখানে আসি।”
অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান জানান, সকালেই খবর আসে যে কচুরিপানার ভেতর লুকোনো একটি দেহ রয়েছে। পরে জানা যায় সেটি নিখোঁজ টোটো চালক শীতল রায়ের। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পেশাগত কারণে প্রায়ই রাতে যাত্রী নিয়ে দূরদূরান্তে যেতে হয় টোটো চালকদের। কিন্তু নিরাপত্তার কোনও সুরক্ষা নেই। ফলে এরকম ঘটনা কর্মজীবী মানুষের পরিবারকে চরম অসহায়তায় ফেলে দিচ্ছে। শীতলবাবুর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবার-পরিজন।