জলপাইগুড়ি : কুলটির নিয়ামতপুরের খুনকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার হলো মূল অভিযুক্ত ফারহানাজ (২৫) ও তার গাড়ি চালক সৌয়দ আখতার ওরফে ফয়জল। শুক্রবার নিয়ামতপুরে খুন হন পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী জাভেদ বারিক (৫০)। তিনি ফারহানাজের কাকাতো ভাই।

পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুনের ছক কষেছিল অভিযুক্ত। তদন্তে উঠে এসেছে, বহু কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করতে ভুয়ো কাগজ বানিয়েছিল ফারহানাজ। এর আগেও তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। খুনের পর বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।

কুলটি ও কোতোয়ালি থানার যৌথ অভিযানে বেরুবাড়ি সীমান্ত থেকে ধরা হয় অভিযুক্তকে। তার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর জামাকাপড়। প্রথমে দিনবাজারের বাপের বাড়িতে গা-ঢাকা দিলেও শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে।
তদন্তকারীদের দাবি, খুন-পরবর্তী পালানোর পরিকল্পনা ও সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র—সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতেই ফারহানাজ।