জলপাইগুড়ি : আজ থেকে শুরু হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম ধাপ। এই প্রথমবার সেমেস্টার ভিত্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, ফলে শুধু পরীক্ষার্থীরাই নন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সমানভাবে উদ্বিগ্ন। তবে বিদ্যালয় প্রধানদের আশা, বিগত কয়েক মাস ধরে একাধিকবার মক টেস্টের অভিজ্ঞতা থাকায় পড়ুয়ারা নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত।
পরীক্ষার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ বছর বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসিটিভি নজরদারি চালু রাখা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে রাখা হয়েছে বিশেষ সুরক্ষা চিহ্ন। রাজ্যজুড়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার।
জলপাইগুড়ি জেলায় এ বছর ১৪ হাজার ৯৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৩৯৫ জন ছাত্র ও ৮ হাজার ৫৩৫ জন ছাত্রী। জেলার ৭৪টি ভেনুতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে নিজ সন্তানের বিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিদ্যালয়ের সামনে উদ্বেগে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এবার সম্পূর্ণ পরীক্ষা হচ্ছে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ওএমআর শিটের মাধ্যমে। প্রতিটি কক্ষে ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর জন্য থাকছেন ৩ জন পরিদর্শক। ক্যালকুলেটর বা কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার দিন সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সামনে পুলিশের টহল এবং কড়া নিরাপত্তা নজরে এসেছে।
বিদ্যালয় মহল মনে করছে, নতুন পদ্ধতির প্রথম পরীক্ষাই হবে পড়ুয়াদের কাছে ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।