নাগরাকাটা : বন্যা বিপর্যয়ের পরও শান্তি ফিরল না নাগরাকাটায়। এবার নতুন বিপদ নেমে এসেছে টুন্ডু ও বামনডাঙা চা-বাগানে—হাতির হানা! রাত নামলেই বন্য হাতির দল ঢুকে পড়ছে শ্রমিক পাড়ায়, উল্টে দিচ্ছে ঘরদোর, নষ্ট করছে ফসল ও খাদ্যসামগ্রী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যার পরে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের তরফে যেভাবে ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিলি করা হয়েছে, তার গন্ধেই জঙ্গলের হাতিরা আকৃষ্ট হচ্ছে। “রাত হলেই হাতি আসে, মাটির ঘর ভেঙে চালের বস্তা নিয়ে যায়”—বললেন বামনডাঙার শ্রমিক রেনু বর্মন।
বনদপ্তরের তরফে জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় বনবাসীদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তাঁরা রাতে টর্চ, মশাল ও ড্রাম বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর কাজে নেমেছেন। বনকর্মীরা গ্রামবাসীদের সতর্ক করে বলেছেন—রাতের বেলা বাইরে না বেরোতে, আলোর উৎস রেখে চলতে এবং খাবার বাইরে না রাখতে।
জলপাইগুড়ি বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “বন্যার পর পাহাড় ও বনাঞ্চলে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। তাই হাতিরা খাদ্যের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে পড়ছে। আমরা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছি।”
বন্যা শেষে বাঁচতে না বাঁচতেই, এখন আবার রাত জেগে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নাগরাকাটার মানুষ।
এক কথায়, চালের গন্ধে চায়ের দেশে এখন ‘হাতির রাজত্ব’!