হাইকোর্টের নির্দেশ এনেও মনোনয়ন জমা করতে বাধা পেলেন জলপাইগুড়ির বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শেখর ব্যানার্জী (ভিডিও সহ)

সংবাদদাতা জলপাইগুড়ি : হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেও জলপাইগুড়ির এক নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা নির্দলের হয়ে মনোনয়ন জমা করতে পারলো না বলে অভিযোগ। বুধবার সকাল থেকে নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে বিভিন্ন নাটকীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল। বুধবার সকালে এক নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী শেখর (মলয়) ব্যানার্জী মনোনয়ন জমা করতে এসেছিলেন। বিজেপি, তৃণমূল ও কংগ্রেস দলের প্রার্থীদের মত একই নিয়মে শেখর বাবু মনোনয়ন জমা করতে আসেন। উল্টে পুলিশের বাধা ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর পুলিশের জিপে শেখর বাবুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও পরে শেখর বাবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মনোনয়ন জমা করতে না পেরে হাইকোর্টের দারস্থ হলেন শেখর (মলয়) ব্যানার্জী আইনজীবীরা। হাইকোর্ট মনোনয়ন জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন দাবি শেখর বাবুর আইনজীবীর, এদিকে অভিযোগ পুলিশ বাধা দেয় মনোনয়ন জমা করতে। অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্যেও পুলিশ শেখর (মলয়) ব্যানার্জী ও তার আইনজীবী এমনকি অন্য আইনজীবিদের ব্যারিকেডে আটকে দেয়। প্রায় ৩৫ মিনিট আটকে রাখার পর দুপুর তিনটের পর শেখর বাবুকে মহকুমাশাসক দফতরে মনোনয়ন জমা করার অনুমতি দেয় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা। প্রায় দেড়’শো মিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে মহকুমাশাসক দফতরে হাজির হন শেখর বাবু। মনোনয়ন জমা করার সময় পেরিয়ে যাওয়ার তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি অফিসে।

শেখর বাবুর আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে সকলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দারস্থ হবো। আমরা শুধু মাত্র এক নম্বর ওয়ার্ডের ভোট প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি তুলবো হাইকোর্টে।

এদিকে প্রাক্তন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা শেখর (মলয়) ব্যানার্জী বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও ডিএসপি আমাকে আটকে রাখলো তিনটে পর্যন্ত। হাইকোর্টে আবার দারস্থ হব। আমি চাই এক নম্বর ওয়ার্ডের ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত করা হোক। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবো।

এদিকে সৈকত চাট‍্যাজি বলেন,”কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এমনকি এসইউসিআই প্রার্থী দিয়েছেন। কে আটকানো হয়নি। সিসি ক্যামেরা দেখা হোক। যারা দল পায় না তারাই নির্দলে দাঁড়ায় তাদের আটকানোর কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *