জলপাইগুড়িতে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায়
উদ্বিগ্ন জেলা কংগ্রেস : পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এসপি অফিস ঘেরাওয়ের হুমকি দিল তারা

অরুণ কুমার : বিভাগীয় শহর জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ক্রমশ চুরি-ছিনতাই এর ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে যে বাড়ির মহিলা পুরুষ ছাড়া মেয়েরা টিউশন থেকে ফেরার পথে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বাড়ি খালি রেখে বাজারে কিংবা অন্যকোন কাজে সন্ধ্যার পর বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। পুলিশি তৎপরতার অভাব এবং নজরদারি না থাকার ফলে এমনটা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে।

শুক্রবার দিন এবিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজ্য সহ জলপাইগুড়ির আইন শৃংখলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ।পরিস্থিতির উন্নতি না হলে জেলা আরক্ষাধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা কংগ্রেস।

এই বিষয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের সঙ্গে দেখা করে , জলপাইগুড়ি শহর এবং জেলায় ভেঙে পড়া আইন শৃংখলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির দাবি জানান জাতীয় কংগ্রেস দলের এই প্রতিনিধিরা। জেলা পুলিশ সুপার কে উপরোক্ত দাবি জানিয়ে

District Congress concerned over theft in Jalpaiguri


সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, সারা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলার এবং শহরের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আজ বিপদের সম্মুখীন, প্রতিদিন জলপাইগুড়ি শহরে দিনের আলোতে ঘটছে ছিনতাই চুরির মতো ঘটনা ,কিন্তু পুলিশ এসব নিয়ন্ত্রণ না করে শাসক দলের নেতাদের তোষামোদ করতেই বাস্ত থাকছে, যদিও কখনো বা দু একজনকে গ্রেফতার করে লোক দেখানো হচ্ছে ,তার পরেই পুলিশই আবার ধৃতকে আইনের জাল কেটে মুক্তি পেতে সাহায্য করছে,। এমন পরিস্থির যদি দ্রুত পরিবর্তন না হয়, তাহলে জেলা কংগ্রেস পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হবে।

জেলা কংগ্রেস সভাপতির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি শহরের বিভিন্ন মানুষ সহ পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষী দত্ত জানিয়েছেন, পুলিশ সতর্ক রয়েছে অভিযোগ পেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । শহরে নজরদারি টহলদারি অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যে শহরের বিভিন্ন মহলে আলোচনার বিষয় জড়ানো হয়েছে এবং সেইসঙ্গে শহরের নিরাপত্তা দ্রুত সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে শহরবাসী চিন্তিত এবং এক্ষেত্রে পুলিশকে আরো বেশি সতর্কতা ও তৎপরতা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *