নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৪ মে ২০২২ : গল ব্লাডার স্টোন অপারেশন করাবার নাম করে পেট কেটে এক ব্যক্তির কিডনি নেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ধুপগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেকক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে গণপিটুনির দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সত্যিই মৃত ব্যক্তির কিডনি পাচার হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
জানা গেছে, ময়নাগুড়ি চুড়া ভান্ডার এলাকার বাসিন্দা বছর ৫৫ এর কিরন মন্ডল গত কয়েকদিন আগে ময়নাগুড়ির একজন ( দালাল) এর হাত ধরে ধূপগুড়ির একটি নার্সিং হোমে গল ব্লাড়ার স্টোন অপারেশন করাবার জন্য ভর্তি হন। এরপর তার অপারেশন হয়। এরপর ওই মহিলার (দালাল) হাতে ২৪০০০/- টাকা দেয় কিরণ মন্ডলের পরিবার। মঙ্গলবার তার ছুটি হবার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর ওই মহিলার বিরুদ্ধে কিডনি পাচারের অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করে মৃতের আত্মীয়রা। খবর পেয়ে ছুটে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মৃতের ভাই নারায়ন মণ্ডল বলেন,”দাদার পেটে পাথর হয়েছিল ৷ দালালের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। দেখে মনে হচ্ছে কিডনি পাচার হয়েছে। উপযুক্ত তদন্ত চাই।
পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।