নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২০ মে ২০২২ : বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে এক যুবকের হাতের আঙুলে সাপের কামড়। জ্যান্ত সাপ ধরে শুক্রবার জারে ভরে সোজা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হলেন ওই যুবক। এদিকে তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু হতেই সাপের কামড়ে জখম যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের৷ জখম যুবকের নাম নুলেন রায়, বাড়ি ময়নাগুড়ির পানবাড়ি এলাকায়। হাসপাতাল থেকে সাপটিকে উদ্ধার করলো পরিবেশ প্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী। জখম যুবকের পরিবারের দাবি, ফরেস্টের পাশেই ক্ষেত রয়েছে তাঁদের। নুলেন এদিন বাদাম ক্ষেতে কাজ করছিলেন। সেই সময় হাতের আঙুলে বিষধর সাপটি কামড় দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আঙুল ফুলে যন্ত্রনা শুরু হয় নুলেনের। শারীরিক অবস্থায় অবনতি দেখে সাপ ধরে সোজা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হয় নুলেন ও তাঁর পরিবার।
খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে সাপটিকে উদ্ধার করলেন পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, “উদ্ধার সাপের নাম ‘গ্রীন পিট ভাইপার’। জঙ্গলে বেশি থাকে এই প্রজাতির সাপ। যেহেতু বাদাম ক্ষেতের পাশে ফরেস্ট রয়েছে সেখান থেকেই সাপটি এসেছে বলে অনুমান। এই সাপের বিষ রয়েছে, তবে মানুষের মৃত্যুর জন্য যত পরিমান বিষের প্রয়োজন সেই তুলনায় কম থাকে। এই কারণে এই সাপের কাপড়ে মৃত্যু হয় না। তবে সাপ ধরে হাসপাতালে আনার দরকার নেই বলে সচেতন করা হচ্ছে সকলকে।”
