নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৫ মে ২০২২ : জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন মোহিতনগর গৌরী হাটের করলা ব্রীজের নির্মান কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিআই(এম) কর্মীরা।

দীর্ঘ প্রায় চার বছর যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ব্রীজের ওপারের বিস্তীর্ণ পাতকাটা ও বারপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষের জলপাইগুড়ি শহরে আসতে হয় এই ব্রীজের উপর দিয়েই। তেমনই এপারের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত ও জলপাইগুড়ি শহরের মানুষেরও ওপারে যেতে ভরসা এই ব্রীজ। বিগত প্রায় তিন বছর যাবৎ ব্রীজটিকে দুর্বল সেতুর তকমা দিয়ে যান চলাচল করা যাবে না বলে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ, সদর বিডিও অফিস এবং সদর ট্রাফিক অফিসের পক্ষ থেকে বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। কিন্তু বিকল্প না থাকায় বিপদ জেনেও ভগ্ন ব্রীজের উপর দিয়েই চলাচল করছে সাইকেল, বাইক, চার চাকার ছোট গাড়ি, যাত্রীবোঝাই টোটো থেকে চা পাতা ভর্তি ট্রেকার। সাপ্তাহিক হাটের দিনে মালপত্র নিয়ে এই ভগ্ন ব্রীজের উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্রীজটি মাঝ বরাবর নীচের দিকে প্রায় দুই ফুট বসে গেছে। দুই পাশের রেলিং পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে। পিলারগুলি ভেঙ্গে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকায় মানুষ।
২০২০ সালে লকডাউনের সময় থেকে নতুন ব্রীজ নির্মাণের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করে সিপিআই(এম)। এরপরই ২০২১ সালের জুন মাসে ঘটা করে নতুন ব্রীজ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। ব্রীজ নির্মাণে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয় ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তিন মাসের মধ্যেই ব্রীজের কাজ শেষ হবে বলে বোর্ড ঝোলানো হয়। কিন্তু বাস্তবে বছর গড়াতে চললেও ব্রীজের কাজ শুরুই হয়নি। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য আদৌ ব্রীজের কাজ শুরু হবে তো ?
বাধ্য হয়েই এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন ব্রীজের কাজ শুরু করার দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সদর পশ্চিম এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন গাঙ্গুলী। মঙ্গলবার গৌরীহাট সংলগ্ন ভগ্নপ্রায় করলা ব্রীজের সামনে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখায় সিপিআই(এম) কর্মীরা। ব্রীজের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা তপন গাঙ্গুলী, শুভাশিস সরকার, শমিক ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। এ সপ্তাহেই বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ডেপুটেশন দেবে সিপিআই(এম) বলেও জানা গেছে।