সংস্কারের অভাবে একপ্রকার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিনত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের ধরধরা নদী

নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ মে ২০২২ : কোথাও আবর্জনার স্তুপ, আবার কোথাও জমে রয়েছে প্লাস্টিকের বর্জ্য পদার্থ। কোন জায়গায় ঘন হয়ে গজিয়ে ওঠা কচু বন এবং জঙ্গলি গাছে দাপটে নদীর জলকেই দেখা দেবার জন্য উঁকি দিতে হয়। সংস্কারের অভাবে একপ্রকার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিনত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের ধরধরা নদী।বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ স্থানীয় রায়কতপাড়া বাসিন্দারাও।

এলাকার বাসিন্দা স্বপন ঘোষ বলেন, “দীর্ঘদিন হয়ে গেছে পুরসভাকে ধরধরা নদী সংস্কার করতে দেখিনি। তবে দিন যত যাবে তত এই নদী সমস্যায় ভুগবে স্থানীয় বাসিন্দারা। আমার মনে হয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ এখনই সিদ্ধান্ত নিক ধরধরা নদী সংস্কারের।

অন্যদিকে নদী সংস্কার নিয়েও জনমত গঠন হওয়া উচিৎ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্রুত এই নদীর সংস্কার না করা হলে আগামী দিনে শহরের রায়কত পাড়া, সেন পাড়া এলাকা বর্ষায় জলবদ্ধ হয়ে পড়বে। কারণ বর্ষায় ওই এলাকার সমস্ত জল ধরধরা নদী দিয়েই করলা নদীতে গিয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চের সহ সাধারণ সম্পাদক জাতীশ্বর ভারতী বলেন, কেবল একটি জায়গায় নয় টোপামারি থেকে শুরু করে প্রায় তিন কিলোমিটার নদীটির বুক আবর্জনায় ঢাকা পরে যাচ্ছে। এছাড়া নদীর কিছু জায়গা দখল চলছে। এই ভাবে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে কাজ চলতে থাকে আগামীতে অবস্থা ভয়ানক হতে যাচ্ছে। যেহেতু এই নদী বর্ষার জল বহনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়ে থাকে সেই কারণে নদী সংস্কারের ব্যবস্থা না নেওয়া হলে রায়কত পাড়া, সেনপাড়া, সহ আরো কিছু এলাকা জলবদ্ধতার মুখে পড়বে বলে মনে করছেন জাতিশ্বর ভারতী।

পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহুয়া দত্ত বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। কে বা কারা ধরধরা নদীতে নোংরা আবর্জনা ফেলে দুষণ ছড়াচ্ছে। এটা ঠিক নয়। নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো। কারণ বর্ষাকালে আমাদের বিস্তীর্ণ এলাকার জল এই ধরধরা নদীতে নেমে গিয়ে করলা নদীতে পড়ে। এখনি সবাইকে সচেতন হতে হবে। পুরসভায় এখনো নতুন বোর্ড গঠন হয়নি। বোর্ড গঠন হলে ধরধরা নদী সংস্কারের দাবি তুলে ধরব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *