অরুণ কুমার : ভিক্ষা নয় ন্যূনতম মজুরি চাই।
মুখ্যমন্ত্রীর একতরফা ঘোষণার বিরুদ্ধে আন্দোলনে চা শ্রমিকরা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা এলাকায় শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। এ বিষয়ে উল্লেখ করতে হয় যে, চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ ও দ্রুত তা চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে রয়েছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলো কে নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ফোরাম। শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলেই ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ কমিটি তৈরি হয়। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ১৮ টি মিটিং এর মধ্যে দিয়ে ন্যূনতম মজুরী নির্ধারিত হয়েছে। ১ লা জানুয়ারি ২০২২ থেকে ন্যূনতম মজুরী কার্যকর হবার কথা সরকার ঘোষনা করলেও তা এখনো চালু হয়নি।
এদিকে চা বাগানের মালিকপক্ষ সরকারি মিটিং- এ ন্যূনতম মজুরী বিষয়ে সহমত হলেও পরবর্তীতে জানিয়েছিল ১৮ টাকার বেশি তাদের পক্ষে মজুরী বাড়ানো সম্ভব নয়। এদিকে আলোচনা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা চা শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী করেছে।
চা শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ফোরাম এর দাবি মালিকদের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে উত্তরবঙ্গের সাড়ে তিন লক্ষ চা – শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরীর অর্থ ঘোষনা করুন মুখ্যমন্ত্রী।
কেরালা,তামিলনাড়ু,কর্নাটক ন্যূনতম মজুরি ঘোষনা করতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ পারবে না কেন, এই প্রশ্ন ছুড়েছেন জিয়াউল আলম। মুখ্যমন্ত্রীর মুখেই ন্যূনতম মজুরির ঘোষনা শুনতে চায় চা শ্রমিকরা, জানিয়েছেন তিনি।
চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং জলপাইগুড়ির আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা-বাগানে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। চা-মজদুর ইউনিয়নগুলোর যৌথ ফোরামের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাগানে শুরু হয়েছে গেট মিটিং।
চা-মজদুর ইউনিয়নগুলোর যৌথ ফোরামের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের ইচ্ছেমত ১৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি ঘোষণা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে একেবারেই খুশি নন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা চাইছেন কেরালা, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর মতো এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করুক। তা না হলে লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলন চলবে। এখন দেখার বিষয় সরকার এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে উত্তরের চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য।