হাসপাতালের আজব দাওয়াই, অভিযোগ রোগীর আত্মীয়ের

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৫ আগস্ট ২০২২ : উত্তরবঙ্গে একটি প্রচলিত কথা আছে, ‘মারিফেলা কান্ড’ ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ঘটলো যেন সেটিই। বিষাক্ত সাপের কামড় খাওয়া রুগীর আত্মীয়দের ঘাতক সাপটিকে হাসপাতালে প্রমাণ স্বরূপ আনার নির্দেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে এক সাপে কাটা রুগীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে এলাকার মানুষ এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকে তারা জানান গোখরো সাপ কামড়েছে। এর পরেই নাকি হাসপাতাল থেকে রুগীর আত্মীয়দের বলা হয় সাপটিকে ধরে আনলেই চিকিৎসা হবে। এরপর তারা বাড়ি ফিরে সাপটিকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে এলে জানতে পারেন রোগীকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে তারা সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছান। সাথে করে নিয়ে আসেন সেই সাপটিকেও।

জলপাইগুড়িতে পৌঁছনোর পর হাসপাতালে ছুটে যান সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি সহ পরিবেশ প্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী এবং সাপে কাটা রোগীর আত্মীয়ের কাছে ঘটনা শুনে ক্ষোভে ফেটে পরেন তিনি। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি সাপ ধরে নিয়ে আসার কথা বলে থাকে তবে সেটা গর্হিত অপরাধ এবং তা বেআইনি। বন্যপ্রাণ কে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসার কোনো আইন নেই। যে কোন সাপের কামড়েই সাপকে ধরে হাসপাতালে আনার দরকার নেই। সঠিক চিকিৎসা হলে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *