সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৯ আগস্ট : পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজো বিশ্বের দরবারে জায়গা দখল করেছে। এই খুশিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। সোমবার সেই শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সভা করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ও পুর কর্তৃপক্ষ। এ দিন পুরসভার প্রয়াস হল ঘরে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাশাপাশি বিভিন্ন থানা এলাকায় পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক হল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী, ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী, ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, দমকলের আধিকারিক এছাড়া বিভিন্ন থানা এলাকায় ডিএসপি, ট্র্যাফিক পুলিশ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মোটামুটি ১৪০টি ক্লাব, স্কুল পড়ুয়া ও পুরসভার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা অংশগ্রহণ করবে । ডিজে মাইক শোভাযাত্রার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া লোগো ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে রবীন্দ্র ভবনে জমায়েত হবেন পুজো কমিটি। এরপর বেগুনটারি, কদমতলা, ডিবিসি রোড, থানা মোড় হয়ে সমাজ পাড়াতে মিছিল শেষ হবে। মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে।

পাশাপাশি ১লা সেপ্টেম্বরের শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের। উল্লেখ্য আগামী ১লা সেপ্টেম্বর দুর্গা পুজো নিয়ে ইউনেসকোকে সম্মান জ্ঞাপনার্থে যে শোভাযাত্রা জলপাইগুড়ি শহরে হবে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে আজ টোটোতে করেই জলপাইগুড়ি শহরে বেরিয়ে পড়লেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা ও জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঐদিন যেহেতু শহরের রবীন্দ্র ভবন থেকে পদযাত্রাটি শুরু হবে তাই এদিন এখান থেকেই টোটোতে করে শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখলেন তারা। যেহেতু শহরে ওইদিন আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পদযাত্রা হবে, তাই পথ চলার পথে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন প্রশাসনিক এই আধিকারিকরা।
জেলাশাসক বলেন, “শোভাযাত্রা যে পথ দিয়ে যাবে সেই জায়গাগুলো আজ দেখা হল। শহরে যাতে সেদিন যানজট বা ভিড় না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে। উল্লেখ্য, “ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত UNESCO-র স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল দুর্গাপুজো। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা আরো বলেন,” বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে ১ সেপ্টেম্বর। মোটামুটি ১৪০ টি ক্লাব অংশ গ্রহণ করবে। বিভিন্ন ব্লকের গ্রামীন এলাকায় চারটি ক্লাব অংশ গ্রহণ করবে।