বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা, ৯ অক্টোবর : বাসুদেবপুর থানার শ্যামনগর কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রথতলা এলাকায় রাস্তার ধার থেকে গত ৬ অক্টোবর সকালে পুলিশ এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। জগদ্দলের গোলঘর রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম রতন রায় ওরফে বাবু (৫০)। তিনি সুদের কারবারি ছিলেন। ওইদিন রাতেই মৃতের পরিবারের তরফে বাসুদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। খুনের পর অভিযুক্তরা মৃতের মোবাইল ফোন-সহ হাতের তিনটে আংটি ও একটি সোনার চেন দেহ থেকে খুলে নিয়েছিল। রতনের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে নোয়াপাড়া থানার কে এন চ্যাটার্জি রোড থেকে তাঁরই বন্ধু দেবাশীষ দাস ওরফে লালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। লালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ কাঁকিনাড়ার মানিকপীর এলাকা থেকে মহম্মদ আরমান, পাপ্পু আনসারি ও ইনজামানুল হক-কে গ্রেপ্তার করেছে। খুনে ব্যবহৃত মোটর বাইকটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, রতনের কাছ থেকে খাবার হোম ডেলিভারি কারবারি দেবাশীষ মোটা অংকের টাকা সুদে ধার নিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়াতেই পরিকল্পনা মাফিক রতনকে খুন করা হয়। শ্যামনগর ঘোষপাড়া রোডের ওপর একটি গেস্ট হাউস ভাড়া নিয়ে সেখানে মদ্যপান করিয়ে ব্লেট দিয়ে শ্বাসরোধ করে রতনকে খুন করা হয়। তারপর মোটর বাইকে মৃতদেহ চাপিয়ে নির্জন কাউগাছি রথতলা এলাকায় ফেলা হয়। রবিবার ধৃত চারজনকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
