সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২২ অক্টোবর : প্যান্ডেল, আলোকসজ্জার কাজ সম্পূর্ণ, আচমকাই সরকারি নির্দেশে অনিশ্চয়তার মধ্যে জলপাইগুড়ি মুন লাইট ক্লাবের শ্যামা পুজো। কিভাবে পুজো হবে ধন্দে পুজো উদ্যোক্তারা।
জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজ চত্বরে দীর্ঘ ৬৭ বছর ধরে পুজো করে আসছে মুনলাইট ক্লাব। গত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ির অন্যতম আকর্ষণীয় কালী পুজো মুন লাইটের পুজো নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুজোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে দড়ি টানাটানি হয়ে আসছিলো, করোনা অতিমারির সময়েও মুন লাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল সিদ্ধার্থ সরকারের সঙ্গে কলেজ মাঠে পুজো করা নিয়ে বিবাদ হয়েছিলো বলে অভিযোগ।

কলেজ পরিচালন সমিতির অনুমতি নিয়েই পুজোর আয়োজন করে আসছে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি। গত দুই বছর করোনার কারণে কলেজ চত্বরে পুজো হয়নি। তবে কলেজের বাইরে রাস্তার পাশে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পুজো কমিটির দাবি, এবার আগে থেকেই কমার্স কলেজ পরিচালন কমিটির কাছে কলেজ প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। এরপর ১৩ অক্টোবর পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানালেন ক্লাবের সম্পাদক প্রতাপ দাম।
ক্লাব সদস্য সন্তু দত্ত বলেন, আমরাও এই কলেজের প্রাক্তনী, প্রয়াত প্রিন্সিপাল নরেশ চন্দ্র ভৌমিকের হাত দিয়ে এই স্থানে পুজোর সূচনা হয়েছিলো আজ থেকে ৬৭ বছর আগে। কলেজ চত্বরে পুজো করার অনুমতি চেয়ে বৈঠক হয়েছিল। পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। আজকে প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, পুজোর কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। শেষ মুহূর্তের প্রশাসন কালী পুজোর অনুমতি না পাওয়ার বিপাকে পুজো কমিটি।