সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৯ অক্টোবর : বিগত কয়েক মাস ধরেই জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজে এক হট্টগোলের পরিস্থিতি বিরাজমান। কখনো স্টুডেন্টদের সাথে, কখনো শিক্ষক ও কর্মীদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের প্রিন্সিপাল ড. সিদ্ধার্থ সরকারকে। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ কলেজের গেট বন্ধ করে তাকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা, কলেজের পড়ুয়ারা, কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ প্রিন্সিপাল কলেজের ভিতরে মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলেজের গেটের বাইরে ভিড় বাড়তে থাকে। এরপর প্রিন্সিপাল বাইরে বার হওয়ার চেষ্টা করলে আরও অশান্তি বেঁধে যায়। কলেজ কর্মী ও পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। ঝামেলা বাড়তে থাকায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।

কলেজের পড়ুয়া ও কর্মীদের একাংশের অভিযোগ যে অধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের ভিতরে রাত হলেই বাইরের লোকজন এনে মদের আসর বসান। আজ আমরা হাতেনাতে ধরেছি। সেই কারণে আমরা জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সঠিক বিচার চাই।

কলেজের লাস্ট ইয়ারের ছাত্র সায়ন্তন খাসকেল জানান, ‘আমার কলেজের প্রিন্সিপাল মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ভাবতে লজ্জা হচ্ছে আমি এই কলেজের ছাত্র।’

কলেজের হেডক্লার্ক রাজীব চৌধুরী বলেন, প্রিন্সিপাল দিনের পর দিন কলেজকে এইভাবে কলুষিত করছেন। আজও তিনি কলেজে বাইরের লোকজন নিয়ে এসে মদের আসর বসিয়েছিলেন। এইভাবে কলেজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই এই প্রিন্সিপালকে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।

অপরদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজের প্রিন্সিপাল ড. সিদ্ধার্থ সরকার। কলেজের ভেতর থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি কলেজের ভিতরে কাজের জন্য এসেছেন। এরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আটকে রেখেছে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।’