
সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২ নভেম্বর : জলপাইগুড়ি যোগমায়া কালী বাড়িতে অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সাথেই জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হলো। বুধবার সকাল ন’টা থেকে নবমী পুজো শুরু হয়। পাশাপাশি সপ্তমী ও অষ্টমী পূজো ছিল এদিন। আলাদা আলাদা ভাবে তিনটি প্রহরে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরোহিত জনার্দন চক্রবর্তী বলেন, অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সাথেই পূজো অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি রয়েছে যজ্ঞের আয়োজনও। যোগমায়া কালীবাড়ির সম্পাদক অঞ্জন ব্যানার্জি বলেন, সকাল ৯ টা থেকে পুজো শুরু হয়ে রাত নটা পর্যন্ত চলবে। তিন প্রহরে তিন ধরনের ভোগের ব্যবস্থাও মায়ের জন্য করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আর, বোয়াল ও কাতল মাছ। পাশাপাশি বিভিন্ন তরকারি, ভাজাও থাকছে। মায়ের নির্দিষ্ট রুপোর বাসনেই ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর ভক্তরা মন্দিরে উপস্থিত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠলেন জলপাইগুড়ির গোমস্তাপাড়ার পালবাড়ী। প্রতিবারের মতো এবারও অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে জগদ্ধাত্রী দেবীর পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। বৈষ্ণব মতে এখানে একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পুজো করা হয়। উল্লেখ্য একসময় বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে এই পুজোর সুচনা হয়েছিল। তারপর দেশ ভাগের পর এপার বাংলায় জলপাইগুড়ি গোমস্তা পাড়ার পাল বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। পাল বাড়ির বর্তমান কর্ণধার কৃষ্ণ পাল তিনি নিজের হাতেই বাড়ির মুর্ত্তি তৈরী করেন। কৃষ্ণ বাবুর স্ত্রী রাধারানী পাল বলেন, শ্বশুর মশাইরা পূর্ববঙ্গে থাকাকালীন মায়ের পুজোর আরাধনা করে এসেছেন । এখন জলপাইগুড়ির বাড়িতে জাঁকজমক ভাবে মায়ের পুজো করা হয়। পুজোয় মাকে নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়। ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, লাবড়া, পাঁচ রকম ভাজা, পোলাও মিষ্টান্ন ও ফল মূল নিবেদন করা হয়। পুজোর দিন আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও পাড়া প্রতিবেশীরা ও বিভিন্ন এলাকার ভক্তদের সমাবেশ ঘটে। পুজো শেষে প্রসাদ বিলি করা হবে বলে জানান তিনি।

জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছেন জলপাইগুড়ি মুহুরী পাড়ার চক্রবর্তী পরিবার। পারিবারিক এই পুজো ২০১১ সাল থেকে জলপাইগুড়িতে হয়ে আসছে। এরআগে বিগত ৫৭ বছর ধরে পৈতৃক বাড়ি হালিশহরে অনুষ্ঠিত হত। জলপাইগুড়ির মুহুরী পাড়া সুধা এপার্টমেন্ট নিবাসী রনজিৎ চক্রবর্তীর জগদ্ধাত্রী পুজোয় একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়, আর দশমীর দিন দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল থেকেই সাড়ম্বরে মায়ের পুজো শুরু হয়েছে। বাড়ির মহিলাদের পুজোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।