ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু জলপাইগুড়ি পুরসভার ওয়াকারগঞ্জের বেহাল রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার চিরকাল।

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১২ নভেম্বর : ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু জলপাইগুড়ি পুরসভার ওয়াকারগঞ্জের বেহাল রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার চিরকাল বলে দাবী এলাকাবাসীর। পুরপ্রশাসনকে বারংবার জানিয়ে কোন সুরহা হয়নিবলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। নিজেরাই পাড়ায় চাঁদা তুলে ইট, সুরকি ফেলে রাস্তা সারাই করেছেন। উল্লেখ্য জলপাইগুড়ির উত্তর রায়কতপাড়া থেকে বিএল.আরও অফিস হয়ে বিডিও অফিসে যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থা হয়ে পড়ে আছে।রাস্তার পাশে নেই পানীয় জলের কল , নেই কোন ড্রেনেজ ব্যাবস্থাও। বর্ষাকালে এলাকার সমস্ত নোংরা জল রাস্তার খানা খন্দে ভরে যায় ।স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত থেকে শুরু করে এলাকার প্রবীন ব্যাক্তি ও পথ চলতি সাধারণ মানুষ এই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ । স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জনা রায় বলেন, দীর্ঘ ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর ধরে দেখে আসছি এই রাস্তা কাঁচা রাস্তা। এখনো কাঁচা রাস্তাই আছে এখনো পাকা হয়নি। পাড়ার প্রচুর ছেলে মেতে স্কুল কলেজে যায়। তারা চলতে ফিরতে সমস্যয় পড়েন এমন কি প্রবীণ ব্যাক্তিরাও রাস্তা চলতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়েন। বর্ষাকালে এক হাটু জল রাস্তা পারাপার করতে হয়। অন্যদিকে আর এক বাসিন্দা অমলা রায় বলেন , এই রাস্তার কথা শুনলেই কোন রিক্সা বা টোটো আসতে চায় না ফলে সমস্যায় পড়িতে হয় আমাদের। এলাকায় কোন পানীয় জলের কল নেই। রাজবাড়ি পুকুরের পেছনে ও ভাটাখানা যাওয়ার রাস্তা থেকে পানীয় জল আনতে হয়। ওই এলাকার আদি বাসিন্দা শীর্ষেন্দু রায় বলেন, এই আমল কি আর ওই আমল কি সব আমলেই পুর প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি কোন লাভ হয়নি। রাস্তার কিছুটা জায়গায় গার্ডওয়াল তৈরী হলেও এখন কোন ড্রেন তৈরী হয়নি । না কোন পাকা রাস্তা। বর্ষাকালে এলাকার মানুষ খানা ঘন্দে ভরা রাস্তার উপর দিয়েই যাতায়াত করেন। দীর্ঘ এক কিলোকিলোমিটার রাস্তার পাশে নেই পানীয় জলের ব্যাবস্থা। প্রায় সারে তিনশো পরিবার বাস করেন। দূর দুরান্ত থেকে খাবার জল আনতে হয়। আমরা এলাকাবাসী দ্রুত এই রাস্তা মেরামত করার দাবি জানাই। এবিষয়ে দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি সবে মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। হ‍্যা আমি কথা দিয়েছিলাম। এই রাস্তা সারাই হবে। তার সঙ্গে পানীয় জলের ব্যাবস্থা হবে কিন্তু আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমি এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *