সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের গাজলডোবা তথা “ভোরের আলো” পর্যটকদের পাশাপাশি পরিযায়ী পাখিদেরও আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য যেখানে নৌকোবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই বিদেশি পাখিদের হয়ে উঠেছে আদর্শ স্থান।

শীতকালের প্রাক মুহূর্ত এখন থেকেই পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলছে এলাকায়। আর এই পরিযায়ী পাখিদেরকে কেন্দ্র করেই এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থারও অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। অনেকেই যুক্ত হয়েছেন নতুন পেশা “পাখি গাইড” হিসেবে। যে সকল পর্যটক বা ফটোগ্রাফাররা পাখির ছবি তুলতে আসেন তাদেরকেই গাইড করেন এই “পাখি গাইড”রা। নৌকো করে পর্যটকদের তারা জলাশয়ের একেবারে মধ্যবর্তী স্থানে চলে যান। এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলছে এখন থেকেই। আর এই দৃশ্য আমাদের ক্যামেরাতেও আজ বন্দী হলো নিমিষেই। রংবেরঙের বিভিন্ন বিদেশী পাখিদের দেখা মিলল এদিন। পাখি গাইডরা, পর্যটক ও ফটোগ্রাফারদের মাথা পিছু হিসেবে নৌকায় করে জলাশয় ও তিস্তা নদী পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় এক “পাখি গাইড” শংকর বিশ্বাস জানালেন, নতুন এই পেশার মাধ্যমে আমরা সাবলম্বী হয়েছি। প্রচুর পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসছেন। পাশাপাশি ফটোগ্রাফাররা পাখির ছবি তুলতে আসছেন। আমরা তাদের নিয়ে নদীতে ও জলাশয় বেরিয়ে পড়ছি। তিস্তা নদী বরাবর প্রায় ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত আমরা যাই। তবে পারিশ্রমিকটা যদি আরেকটু বাড়ানো হয় তাহলে আমাদের সকলের ভালো হয় বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে গাজলডোবা ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রজেক্ট “ভোরের আলো”। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসছেন। নৌকো বিহার থেকে শুরু করে পরিযায়ী পাখিদের আদর্শস্থানে পরিণত হয়েছে এটি। ভোরের আলোকে কেন্দ্র করে আরো ডেভেলপমেন্টের কাজ করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট উন্নত করা হয়েছে। উন্নয়নের আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।