বিকাশ সরকার, হলদিবাড়ি : এবার কচুয়া কান্দিপাড়া ৩ নং স্পারে আগত চিতা বাঘটি স্থান পরিবর্তন করেছে বলে এলাকাবাসীদের ধারণা। অনেক এলাকাবাসী মনে করছেন চিতা বাঘটি হয়তো এখানে নেই । হয়তোবা তিস্তার চড়ে গিয়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছে। কেননা কয়েকদিন থেকেই এখানে পাতা রয়েছে একটি খাঁচা। যদি চিতা বাঘটি এখানেই থাকতো তাহলে কম করে একবারটি সেই খাঁচার আশেপাশে তাকে ঘুরতে দেখা যেত। আবার কেউ কেউ মনে করছেন হয়তো চিতা বাঘটি লোকের সমাগম এবং খাঁচা দেখে বুঝতে পেরে এখান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হয়েছে। এতকিছু ভাবার পরেও এখনো কিন্তু চিতাবাঘটিকে ঘিরে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়ালমারী নন্দনপুর অঞ্চলের কচুয়া কান্দিপাড়া তিন নং স্পার এলাকার বাসিন্দারা অনেকটাই ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছেন। কেননা তাদের এলাকার অনেকেই কিছুদিন আগে একটি চিতাবাঘ স্বচক্ষে দেখেছিলেন এলাকায় এবং এলাকারই স্থানীয় এক মহিলার একটি গর্ভবতী ছাগল খেয়ে ফেলেছিল এই চিতা বাঘটি বলে সেই মহিলাটির ধারণা। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল মন্ডল বলেন, চিতাবাঘটি হয়তো স্থান পরিবর্তন করেছে। তিনি আরো বলেন, যেদিন বনদপ্তরের পক্ষ থেকে খাঁচা বসানো হয়েছিল সেদিন তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন এবং সেদিন বনদপ্তরের যে তৎপরতা দেখেছেন বর্তমানে সেই তৎপরতা নেই। তিনি আরো বলেন, এখনো নাকি এলাকাবাসীরা রাতের বেলায় বাঘের ডাক শুনতে পান। তাই এলাকাবাসীরা এখনো অনেকটা ভয়ে জীবন যাপন করছেন বলেও অভিমত প্রকাশ করলেন গোপাল বাবু।
