সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : বাবা মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে জলপাইগুড়ি শহরের একটি বাংলা মাধ্যম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী বলে পরিবারের অভিযোগ। গতকাল বিকেলের পর ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাম শ্রেয়া ঘোষ, বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের দেবনগর এলাকায়। শুধু তাই নয় মৃত্যুর আগে ছাত্রীটি একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। এই ঘটনার পরেই শনিবার কোতোয়ালি থানার অভিযোগ জানান ছাত্রীর পরিবার। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, একজন শিক্ষিকা ও এক সহপাঠীর নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।সুত্রের খবর গত সাতই ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর সংস্কৃত পরীক্ষা ছিল।

মৃত ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে সংস্কৃত পরীক্ষা চলাকালীন একই ক্লাসের এক সহপাঠী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে অভিযোগ করে জানায় শ্রেয়া নকল করেছে। সহপাঠীর কথা শুনে শ্রেয়াকে তল্লাশি করে শিক্ষিকা। তল্লাশি করেও শ্রেয়ার কাছ থেকে নকল করার কোন প্রমান পায়নি শিক্ষিকা বলে অভিযোগ শ্রেয়ার পরিবারের। তারপরেও শ্রেয়ার পরীক্ষা বাতিল করে অভিভাবককে ৮ই ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে ডেকে অপমান করা হয় তাও আবার ছাত্রীর সামনে বলে অভিযোগ। বাবা মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেয়ে ৯ই ডিসেম্বর গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে শ্রেয়া ঘোষ বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী সুইসাইড নোট লিখে যায়। সুইসাইড নোটে কারো নাম উল্লেখ না থাকলেও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা আর এই অপবাদ সহ্য করতে না পেরে সে এমনটা করতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

ছাত্রীর বাবা দেবদুলাল ঘোষ কোতোয়ালি থানার লিখিত অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে নকল করেনি। অন্য এক ছাত্রীর কথা শুনে আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। চাপ দিয়ে লেখানো হয় নকল করেছে। অপমান সহ্য করতে না পেরে ও আত্মহত্যা করে। এরজন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি হোক। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান মৃত ছাত্রীর বাবা।
এদিকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, নকল করেছিল ওই ছাত্রী আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এসে জানায়। নকল করেছে সেটাও লিখে দিয়েছে। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে ডেকে। কিন্তু ঘটনার দুই দিন বাদে আত্মহত্যা কেন করল সেটা জানা নেই। তবে কোন চাপ কিংবা অপমান করা হয়নি। শুধু সর্তক করা হয়েছে।”