সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : সরকারি হাসপাতাল থেকে মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পকেটে তিন হাজার টাকা নেই। টাকা ছাড়া মৃতদেহ নিয়ে যেতে নারাজ অ্যাম্বুলেন্সের চালক। বাধ্য হয়ে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে তুলে বাড়ির পথে রওনা হলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার অমানবিক এই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহরে।

মায়ের মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়ার মতো অমানবিক দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত জলপাইগুড়ি শহরের মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে।

ডুয়ার্সের ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ দেওয়ান তাঁর ৭২ বছরের মা লক্ষ্মীরানী দেবীকে ভর্তি করেছিলেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মায়ের। এরপর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে গেলে চালক তিন হাজার টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। রামপ্রসাদ জানান, তাঁর কাছে ১২০০ টাকা রয়েছে। যদিও এই টাকায় অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃতদেহ নিয়ে যেতে নারাজ। বাধ্য হয়ে মায়ের মৃতদেহ ঘাড়ে করে বাড়ির পথে রওনা হন রামপ্রসাদ। তাঁর বাবাও স্ত্রীর মৃতদেহ পায়ের দিকে আগলে ধরেন (ভিডিও দেখুন, ভিডিওর লিঙ্ক নীচে দেওয়া আছে)।

এমন অমানবিক ঘটনার কথা শুনে শববাহী গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। তিনি বলেন, সংস্কৃতির শহর জলপাইগুড়িতে এমন অমানবিক দৃশ্যের কথা কখনও ভাবাই যায় না। আমরা বিনামূল্যে রামপ্রসাদ বাবুর মায়ের মৃতদেহ ক্রান্তিতে পৌঁছে দেব।

যদিও জলপাইগুড়ি জেলা এম্বুলেন্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ দাস অভিযোগ করেছেন, ঘটনাটি পুরো সাজানো। তাদের বদনাম করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই কাজ করেছে।

অন্যদিকে INTTUC র টাউন ব্লক সভাপতি পূর্নব্রত মিত্র এই ঘটনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন।