জলপাইগুড়ি : শৈশবে শেখা সততার মন্ত্র জীবনের প্রতিটি ধাপে অনুসরণ করে চলেছেন জলপাইগুড়ির ৬৫ বছর বয়সী টোটো চালক অশোক কামতি। মঙ্গলবার সকালে এক বিরল উদাহরণ স্থাপন করলেন তিনি, যখন নিজের টোটোতে পাওয়া একটি ল্যাপটপ থানায় জমা দিতে ছুটে গেলেন।
সকালবেলা শীতের মধ্যে কোতোয়ালি থানায় প্রবেশ করেন অশোক কামতি। শীতে গায়ে খুব বেশি কাপড় না থাকলেও তাঁর সততার উষ্ণতা সকলকে মুগ্ধ করেছে। পুলিশ ও পথচারীদের কৌতূহলের মধ্যে তিনি জানান, “গতকাল সন্ধ্যায় টোটো চালিয়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দেখি সিটে একটি জিনিস পড়ে আছে। প্রতিবেশীরা বলেন, এটি একটি কম্পিউটার। সারা রাত সেটি আগলে রেখেছি। ভোরে থানায় জমা দিতে এসেছি, যাতে প্রকৃত মালিক তা ফিরে পান।”

কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ সঞ্জয় দত্ত জানান, “অশোক কামতির মতো সততার উদাহরণ আজ বিরল। তাঁর জমা দেওয়া ল্যাপটপের প্রকৃত মালিক উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে থানায় এলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

এই ঘটনা শুধু একজন প্রবীণ টোটো চালকের সততার পরিচয় নয়, এটি আমাদের সমাজে সততার মূল্যবোধের প্রতিফলন। বর্তমান সময়ে, যখন মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে অনেক কিছু করতে দ্বিধা করেন না, তখন অশোক কামতির মতো মানুষরা প্রমাণ করেন যে সততা এখনো সমাজে বেঁচে আছে। তাঁর এই কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়।