সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ অক্টোবর : নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন মধ্যবয়স্ক এক মহিলা। সোমবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা সরণি এলাকায়।

জানা গেছে, সোমবার সকালে প্রতিবেশীদের নজরে আসে আগুনের ধোঁয়া ও মহিলার চিৎকার। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ও দমকল বাহিনী ছাদের ঘরের ভেতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত মহিলার নাম পুতুল বসু (৬২), তিনি আনন্দচন্দ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক ছিলেন। প্রয়াত অধ্যাপক মলয় বসুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন পুতুল দেবী। পরিবার সুত্রে জানা যায়, প্রয়াত অধ্যাপক মলয় বসুর প্রথম স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে অন্য বাড়িতে থাকেন। পরের স্ত্রী পুতুল দেবী এক ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে নিবেদিতা সরণির বাড়িতে থাকতেন৷ এ দিন সকালে ময়নাগুড়িতে ছেলে ও ছেলের স্ত্রী কর্মসূত্রে চলে যান। দুপুরে অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হল। আত্মঘাতী হওয়ার আগে দুটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন পুতুল দেবী। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুতুল দেবীর প্রথম পক্ষের ছেলে ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন,”আমি শুনে এলাম। কিভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল বুঝতে পাচ্ছি না। পুলিশ নিশ্চই তদন্ত করবে।”
স্থানীয় কাউন্সিলর সৈকত চ্যাটার্জী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি বলেন,”খবর পেয়ে ছুটে এলাম। মহিলা চিৎকার করছিলেন৷ পুলিশ এসেছে তদন্ত করে দেখছেন৷”