জলপাইগুড়ি : দিনমজুরের কাজ করে সংসার টানতেন, ডিপ্লোমা থাকা সত্ত্বেও চাকরি জোটেনি। কিন্তু ভাগ্য যখন ঘুরে দাঁড়ায়, তখন রোজকার ছাইচাপা জীবনের গল্পেও রামধনুর রঙ লাগে। এমনই এক বাস্তব কাহিনি রচনা করলেন জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাটকাটা ডেঙ্গুয়াঝাড়ের অভিজিৎ দে।
ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা, অথচ কাজ নেই। বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। তবু হাল ছাড়েননি। মাঝে মাঝে একটু আশার সন্ধানে লটারির টিকিট কিনতেন—ভাবতেন, যদি কখনও কপাল খুলে যায়!
গতকাল বৃহস্পতিবার, মাত্র ষাট টাকা দিয়ে স্থানীয় রংধামালির এক দোকান থেকে একটি লটারির টিকিট কেনেন তিনি। ফলাফল? চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার! সব নম্বর মিলে গেছে—সরাসরি কোটিপতি!
“বিশ্বাসই হচ্ছিল না। টিকিট মিলিয়েছি আর চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে আমার ভাগ্য,” বলেন অভিজিৎ।
নিয়ম অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি লটারি টিকিটটি জমা দেন জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানায়।
এক সাধারণ পরিবারের ছেলে, যাঁর প্রতিদিনের জীবন ছিল শুধুই সংগ্রাম, আজ তিনি কোটি টাকার মালিক। আনন্দে চোখে জল—শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের কষ্টের দিন হয়তো এবার শেষ হতে চলেছে।
সত্যি, কখন কোন বাঁকে ঘুরে যায় জীবনের চাকা, কেউ জানে না।
(জলপাইগুড়ি নিউজ লটারির প্রতি কোনও প্রকার সমর্থন করে না। এটি কেবল একটি ব্যতিক্রমী বাস্তব ঘটনা হিসেবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।)