সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : সিবিআই তদন্তের জন্য এবার মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিজেপি বিধায়ক তথা মৃত আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চ্যাটার্জী। উল্লেখ্য গত শনিবার সকালে পান্ডাপাড়ার বাড়ি থেকে পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপিতা অপর্না ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়। মৃতের ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে জলপাইগুড়ি পুরসভার বতর্মান ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী , ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ সহ আরও দুই জনের নাম উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জী।

বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জী এদিন বলেন, অভিযোগ দায়ের করার পরেও এখন কেন অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলো না সেই বিষয় জানান জন্য আজ বুধবার কোতয়ালী থানায় এসেছি । তিনি আরও বলেন এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং যুব তৃনমূল সভাপতির পদে বসে আছে। সুতরাং প্রভাবশালী ব্যক্তি যতক্ষন ওই পদে বসে থাকবেন ততক্ষণ এই তদন্তের কাজ হওয়া সম্ভব নয়। আবার পুলিশের তদন্তের ওপর আমাদের কোন ভরসা নেই। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী তিনি সকলের। তাই নায্য বিচার চেয়ে তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান শিখা চ্যাটার্জী (নিচের ভিডিওতে শুনুন শিখা দেবীর বক্তব্য)।
এদিন ডিবিসিরোড এলাকার জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী অভিযোগ করে জানান, পুলিশ অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত অথবা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান হবে (নিচের ভিডিওতে শুনুন বাপী গোস্বামীর বক্তব্য)।
এদিকে অভিযুক্ত সৈকত চ্যাটার্জি জানান, আমার বিরুদ্ধে যারা বলছেন আমি জমি মাফিয়া! আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। সৈকত চ্যাটার্জি অভিযোগ করেন আত্মহত্যার পেছনে শিখা চ্যাটার্জির হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সৈকত বাবু (নিচের ভিডিওতে শুনুন সৈকত বাবুর বক্তব্য)।
সৈকত চ্যাটার্জীর বক্তব্য
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি শহরে দম্পতি’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলল জেলা বামফ্রন্ট। বুধবার জেলাশাসক দফতরে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দাবিপত্র জেলা প্রশাসনকে তুলে দিলেন বামফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক সলিল আচার্য, পীযুষ মিশ্র, প্রকাশ রায়, প্রানেশচন্দ্র সরকার সহ অন্যান্যরা (নিচের ভিডিওতে শুনুন সলিল আচার্যের বক্তব্য)।