জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরের টোটো চালক খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। যাত্রী সেজে উঠে ভাড়া না দেওয়ার অজুহাতে খুন করা হয়েছিল চালক সিতুল রায়কে। বৃহস্পতিবার, ঘটনার প্রায় কুড়ি দিনের মাথায় মৃতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হাওড়ার সাকরাইল থেকে গ্রেপ্তার হল কোচবিহারের যুবক জ্যোতির্ময় রায় ও তার প্রেমিকা রত্না রায়। ঘটনায় হতবাক সিতুল রায়ের পরিবার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের মাহুতপাড়ার বাসিন্দা টোটোচালক সিতুল রায় (৫০)। দু’দিন পর খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নামাজিপাড়া এলাকার একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে যাত্রী নিয়ে দেবনগরের দিকে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন ও টোটো রিকশা উধাও হয়ে যায়।

তদন্তে উঠে আসে, চিলকিরহাটের যুবক জ্যোতির্ময় রায়ই টোটোটি নিয়ে পালিয়েছিল। ফাঁড়ির পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় রিকশা ফেলে জলপাইগুড়ি চলে আসে সে। এখানেই তার বিবাহিত প্রেমিকা রত্না রায়কে নিয়ে হাওড়ার সাকরাইলে গিয়ে ভাড়া বাড়ি নিয়ে গা-ঢাকা দেয়। কিন্তু সেখানেই মৃত চালকের মোবাইল ফোন চালু করতেই পুলিশের রাডারে ধরা পড়ে যায় জ্যোতির্ময়। শেষমেশ, জলপাইগুড়ি পুলিশ সাকরাইল থেকে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, “ভাড়া দিতে না পেরে চালককে খুন করে টোটো ও মোবাইল নিয়ে পালিয়েছিল জ্যোতির্ময়। প্রেমিকার সঙ্গে হাওড়ায় গিয়ে আত্মগোপন করলেও শেষরক্ষা হয়নি।” ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে এবং সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।