কুলতলী : অবশেষে মৈপিঠের গঙ্গার ঘাটে ধরা পড়ল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় বন্দি হলো সুন্দরবনের দক্ষিণ রায়। এক সপ্তাহ ধরে কুলতলী ও মৈপিঠের বিভিন্ন গ্রামে তিনবার হানা দিয়েছিল বাঘটি, যার ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা।

গত কয়েকদিন ধরে বনদপ্তর বারবার বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। শেষপর্যন্ত খাঁচার পরিকল্পনা কাজে লাগে। বনদপ্তরের বিভাগীয় আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, মৈপিঠের কিশোরীমোহনপুর এলাকা থেকে বাঘটি খাঁচায় বন্দি করা সম্ভব হয়েছে।
বাঘের হানার বিবরণ :
৬ জানুয়ারি: কিশোরীমোহনপুর এলাকায় প্রথম দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ।
৮ জানুয়ারি: ভোররাতে বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে।
৯ জানুয়ারি: ফের মৈপিঠের নগেনাবাদে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়রা।
১০ জানুয়ারি: মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বাঘ লোকালয়ে চলে আসে।

আজ সকালে গঙ্গার ঘাটে বাঘের উপস্থিতি টের পান স্থানীয়রা। বনদপ্তর সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং টোপ দিয়ে বাঘটিকে ধরতে সক্ষম হয়।
নিশা গোস্বামী জানান, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বাঘটিকে নিরাপদে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর খাঁচায় বন্দি হওয়ায় এলাকাবাসী এখন স্বস্তি পেয়েছেন। দক্ষিণ রায়কে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

বাঘটি ধরা পড়ার পর এলাকাবাসীর মুখে দেখা গেছে স্বস্তির হাসি। আতঙ্ক কাটিয়ে এলাকাজুড়ে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে শুরু করেছে।