জলপাইগুড়ি, ১৪ এপ্রিল : চিকিৎসা চেয়ে এসেছিলেন, ফিরে গেলেন কফিনে। পা ভেঙেছিল জানকী মালাকার (৫০)-এর, কিন্তু চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতিতে প্রাণটাই চলে গেল বলে অভিযোগ। পরিবার বলছে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বুধবার তার অস্ত্রোপচার হয়। বৃহস্পতিবারের পর থেকে একটিবারও কোনও চিকিৎসক নাকি এসে খোঁজ নেননি রোগীর। গতকাল সন্ধ্যে অবধি সব ঠিক থাকলেও, রাতেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আজ সকাল হতেই মৃত্যু।

এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করে মৃতার পরিবারের লোকজন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গেটে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তাঁদের দাবি, ময়নাতদন্ত ছাড়াই যেন দেহ তুলে দেওয়া হয় এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।

রঞ্জিত মালাকার, মৃতার ছেলে বলেন, “আমার মায়ের যন্ত্রণা কেউ দেখেনি। ডাক্তাররা অবহেলা না করলে মা হয়তো বাঁচতেন। আমরা পুলিশে অভিযোগ করেছি। দোষীদের শাস্তি চাই”।

প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য প্রশান্ত কুমার সরকার জানান, “এটা স্পষ্ট চিকিৎসাগত গাফিলতির ঘটনা। আমি রাজ্যের শাসক দলের কর্মী হলেও এই ঘটনার নিন্দা করছি এবং চাই সুস্থ পরিষেবা হোক, ডাক্তাররাও যাতে ভালোমতো চিকিৎসা করেন, রোগীদের কথা যেন ধৈর্য ধরে শোনেন এবং তাড়িয়ে দেওয়ার যে ব্যাপারটা যেন বন্ধ হয়।”

একটি ভাঙা পা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন জানকী দেবী, কিন্তু বের হলেন নিথর শরীরে। প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসা না অবহেলা?
নীচে ভিডিওতে শুনুন বক্তব্য।