সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য সহ অনেকেই। এদিকে তাদের নাম রয়ে গেছে শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে। শিশুদের পাঠ্যবই থেকে অভিযুক্তদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি তুললো নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবশেখর মন্ডল। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে তারা দাবি জানিয়েছেন পর্ষদের বর্তমান সভাপতিকেও। বুধবার একথা জানালেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার জলপাইগুড়ির কদমতলায় নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে জেলা কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হাজির ছিলেন নবচন্দ্র দেব, আজিজুর রহমান সহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তথা জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝাও।

এদিন সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবশেখর মন্ডল বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদ চেয়ারম্যানের নাম শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে জ্বলজ্বল করছে। এটা শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এদের নাম পাঠ্যবইয়ে দেখে পড়ুয়ারা নানা প্রশ্ন তুলছে। অভিযুক্তদের নাম বিয়োজন করতে হবে। পাঠ্যবইয়ে কারও নাম থাকার কোন প্রয়োজনই নেই। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু হয় গোটা শিক্ষার হাল পচিয়ে দিয়েছে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । হাজারো হাজারো ছেলে মেয়েরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে দীর্ঘদিন ধরে বসে আছে। যাদের চাকরি পাওয়ার কথা তারা চাকরির জায়গায় নেই অথচ যারা চাকরী পাওয়ার কথা নয় তাদের শূন্য থেকে পঞ্চাশ করে তাদেরকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে বলেও অভিযোগ করেন ধ্রুব শেখর মন্ডল। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গ কোনদিন দেখেনি। যারা এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সেই দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন করার দাবী জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। উপরিউক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে এবিষয়ে তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।