জলপাইগুড়ি, ২২ জুন: শিলিগুড়ির ব্যস্ত হিলকার্ট রোডে সোনার দোকানে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনার পর রাজ্য পুলিশের তৎপরতায় জলপাইগুড়িতেও শুরু হয়েছে কড়া নাকা চেকিং। রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি শহরের গোশালা মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কে কোতোয়ালি থানার উদ্যোগে চলাচলকারী বাস, ছোট গাড়ি, বাইক থামিয়ে শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি অভিমুখে যাওয়া প্রতিটি যানবাহন বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। বাসে বাসে উঠে যাত্রীদের ব্যাগপত্র খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্মীরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ি ও বাইকের উপরেও। সন্দেহভাজনদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় কর্তব্যরত আধিকারিকদের।

উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের একটি সোনার দোকানে ছয় থেকে সাত জন দুষ্কৃতী ক্রেতা সেজে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কর্মীদের হাত বেঁধে ফেলে এবং দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পরেই গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

ডাকাতদলের গা ঢাকা দেওয়া রুখতেই জলপাইগুড়ির প্রবেশপথে এমন তল্লাশি অভিযান বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন। অভিযানে নিযুক্ত এক আধিকারিক জানান, “আমরা প্রতিটি সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জলপাইগুড়ি হয়ে কেউ যেন পালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
ব্যস্ত বিকেলেও গোশালা মোড়ে পুলিশের এমন নজরদারিতে যানজটের সৃষ্টি হলেও, সাধারণ মানুষ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের কথায়, এমন তৎপরতাই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ায়।
ডাকাতি-কাণ্ডে এখনো পর্যন্ত দু’জন ধৃত হলেও মূল চক্রের হদিস পেতে এই অভিযান আরও কিছুদিন চালানো হবে বলে জানা গেছে।