দুই বছর পর ফের ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির ঢাকিরা

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি , ১৫ সেপ্টেম্বর : করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ঢাকিদের মুখে এখন চওড়া হাসি। ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির ঢাকিরা। বাইরে যাওয়ার আগে নিজেদের ঢাক সারাইয়ের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। বিগত দুই বছর করোনা পরিস্থিতি থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন ঢাকিরা। সেই সময় গোটা পুজা মরশুমটাই সেরকমভাবে বাদ্য যন্ত্র বাজাতে পারেননি। অনেক ঢাকিরাই নিজের পেশা ছেড়ে অন্য পেশার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় চিন্তার ভাঁজ দূর হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন। করোনা কাল দুই বছর অতিবাহিতর পর আবারও দূর্গা পূজোয় ঢাক বাজাতে আসামের উদ্দ্যেশ্যে পাড়ি দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির বাদল দাস এবং তার সতীর্থরা। দূর্গা পুজো মানেই শারদীয় উৎসব আর শারদীয় উৎসব মানেই কাসর ঘন্টা, ঢাকের কাঠির অনবদ্য বাজনা।

After two years; the Dhakis of Jalpaiguri are again moving to other states

যা নাহলে সম্পুর্ন পূজোটাই মনে হয় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে, পূজা পাঠ, আরতি, প্রতিমা বিসর্জন সব কিছুতেই ঢাকের বাজনা গোটা পূজো মন্ডপকে মাতিয়ে রাখে ঢাকিরা। প্রতিটি পূজো মন্ডপে ঢাকের অনবদ্য কাঠির শব্দে ভক্তদের উদ্যম নাচ যা আগত দর্শনার্থীদের মন ছুয়ে যায়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব মানেই দূর্গা উৎসব। আর এই উৎসবের মজা যে কেউই হাত ছাড়া করতে চায় না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাদল বাবু বলেন, গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতি মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। আমরা আগে ১৫ থেকে ২০ জন আসামে ঢাক বাজাতে যেতাম। মাঝখানে দুই বছর করোনা পরিস্থিতি থাকায় এই পেশার থেকে বেরিয়ে গিয়ে টোটো চালানো, রঙের কাছ, এমন কি ঢেঁকি শাক পর্যন্ত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে অনেককেই । সেই সব দুর্দশার কথা মুখে বলা যায় না। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে সবাই এবার আনন্দে ভাসতে চাই। তাই আসামের উদ্দ্যেশ্যে এবার পাড়ি দিচ্ছি । আশা করি পুজো মরশুমটা ভালই কাটবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *