জলপাইগুড়ি : মেয়ের বান্ধবীর জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত আইনের কঠোর শাস্তি পেলেন আজিদার রহমান। নয় বছরের নাবালিকাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অপরাধে শুক্রবার জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত তাঁকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার এলাকায় গত বছরের ৪ঠা অক্টোবর। অভিযোগ ছিল, শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বারবার নির্যাতন চালাত অভিযুক্ত। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। মামলার শুনানিতে নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি এবং প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
শিশু ভিকটিমের পুনর্বাসনের দিকেও নজর দিয়েছে আদালত। জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে তাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত বলেন, “এই রায়ে বোঝা গেল, নাবালিকা নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধে আদালত কোনওরকম ছাড় দেবে না।”
এই রায়ে একদিকে যেমন ন্যায়বিচারের আশা পেল ভুক্তভোগী পরিবার, তেমনই সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল আদালত— শিশু নির্যাতনের জায়গায় কড়া আইনি শাস্তিই একমাত্র বার্তা।