জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাদার চাইল্ড হাবে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বোয়ালমারি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ২৩ বছরের শান্তনা রায়।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ২৯ ডিসেম্বর সন্তান জন্ম দেওয়ার পরদিন থেকেই শান্তনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। ২ জানুয়ারি গভীর রাতে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেশনে, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

রোগীর স্বামী উত্তম মাতব্বর জানান, “আমার স্ত্রীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইন নিয়ে যা ঘটেছে, এখানেও তা ঘটতে পারে।”
সোমবার রাতে রোগীর পরিবার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের দাবি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইন ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের সঙ্গে এই ঘটনার তুলনা করছেন অনেকে। পরিবার, চিকিৎসক মহল ও নাগরিক সমাজ দ্রুত এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।