সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ আগস্ট : নির্মীয়মান জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের কাজকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সিন্ডিকেট কায়েম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদ ও ঝামেলার অভিযোগ কয়েক দিন থেকেই। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় প্রধান, উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতারা৷

নির্মীয়মান মেডিকেল কলেজের কাজকে কেন্দ্র করে সিমেন্ট, বালি, রড লোড আনলোডিং নিয়ে ঝামেলার অভিযোগ উঠছিল। রডের গাড়ি আটকে রাখার অভিযোগ উঠে দুই দিন আগে। বরাত পাওয়া ঠিকাদারের সঙ্গে লোহার রড, সিমেন্ট লোডিং ও আনলোডিংয়ের জন্য যে টাকা ঠিক হয় সেভাবেই কাজ হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর৷ হঠাৎ করে টাকা বাড়াতে বলেন কর্মীরা। তাতেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ছড়ায় আজ। এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় প্রধান ও উপপ্রধানরা। এরপরেই স্থানীয় একাংশ কর্মী ও কাজে যুক্ত থাকা কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷

কৃষ্ণ দাস সংবাদ মাধ্যমকে নাম না করে বলেন,” দলের কেউ কেউ মেডিকেল কলেজ কাজকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট করার চক্রান্ত করছেন। জেলা সভাপতিকে জানানো হয়েছে। আজকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হল কোন দাদাগিরি চলবে না। জেলার মেডিকেল কলেজ৷ এরপরও এরকম হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, প্রধান হেমব্রম বলেন, “শান্তিপূর্ণ আলোচনা চলাকালীন এদিন বচসা তৈরি হয়েছিল, পরে তা মিটে যায়। যারা অন্যায় করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
যুব তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেউ যদি কাজ করতে বাধা প্রাপ্ত হন তারা প্রশাসনের কাছে যেতে পারেন।”
এদিকে বিজেপি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন,”তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। কিভাবে নেতারা টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকাবে এটাই লক্ষ্য তাদের। এভাবে চলতে থাকলে তৃণমূলে তৃণমূলে নেতার মারামারিতে খুন হবে তৃণমূল নেতারাই।”
স্থানীয় বাপি প্রধান বলেন, “এখানে লোকাল ছেলেদের কাট মানি খাওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে এটা মোটেও সত্যি নয়। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”