দাবদাহে কম খরচে পাকা বাড়িতে শান্তিতে থাকার সহজ উপায়

ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। অসহনীয় গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঘরে ফ্যানের নীচে বসেও দরদর করে ঘামছেন। এসি কেনার সাধ্য নেই। এই গরম থেকে একটু মুক্তি পাবেন কি করে? যে কোনো পাকা বাড়িতে শান্তিতে থাকার একটি অত্যন্ত সহজ উপায় জানাবো আজ। এই কাজটা করে নিলে যাদের এসি আছে তাদেরও কিন্তু এসিতে লোডটাও অনেক কম পড়বে।

জানুন খুব কম খরচে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য কি কি উপকরণ লাগবে। কলিচুন, জিঙ্ক অক্সাইড, হোয়াইট সিমেন্ট ও ফেবিকল।

An easy way to stay in peace in the summer in an affordable summer home

কিভাবে করবেন – বাজার থেকে পাথুরে চুন পরিমাণমত কিনে আনতে হবে। এরপর পাথুরে চুন (কলি চুন) সারারাত ভিজিয়ে রেখে দেবেন সিলভারের বালতিতে বা ভূষিমালের দোকান থেকে তেলের একটা খালি টিন কিনে এনে, সেটাতেই পারলে ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগেই এই চুনের সাথে জিঙ্ক অক্সাইড, হোয়াইট সিমেন্ট ও ফেবিকল সব একসাথে মিশিয়ে গাঢ় তরল আকারে করে নিতে হবে। এরপর ছাদে গিয়ে আগে ছাদটা ভালো করে ঝাঁটা দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অতঃপর একটি মগ দিয়ে ছাদে ঘোলাটা ফেলে ঝাঁটা দিয়ে দিতে হবে (ঠিক যেমনটি করে ধান ঝাড়াইয়ের পূর্বে গোবরজল দিয়ে উঠানে ঘোলা মারা হয়)।

কতটা পরিমান লাগবে – ১০/১২ একটা ঘরের জন্য ৫ কেজি পাথুরে চুন + ১.৫ কেজি হোয়াইট সিমেন্ট + ১.৫ কেজি তরল ফেবিকল (প্যাকেটে যেটা পাওয়া যায়) + ১ কেজি জিঙ্ক অক্সাইড। এতেই ঘোলা তৈরি করলে যথেষ্ট মোটা আস্তরণ হয়ে যাবে এবং তাতেই কেল্লাফতে। তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন এটার বৈধতা ২ থেকে ৩ বছর। বর্ষার টানা বৃষ্টি খেলে কিন্তু ওটা আস্তে আস্তে ধুয়ে যাবে। তারপর আবার পূর্বের মতো ঘোলা লাগিয়ে নিতে হবে।

ভাবছেন কত খরচ পড়বে! খরচ বেশি নয়, একটা ঘরের জন্য মাত্র প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মত খরচ হবে। আরও মনে রাখবেন এই ঘোলা লাগানোর ফলে ছাদের কোনোরকম ক্ষতি তো হবেই না বরং ছাদের টেকসই বেড়ে যাবে। সেইসাথে গরমের হাত থেকে স্বস্তিও মিলবে।

ছবি সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *