সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : শনিবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে জেলা যুব কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল ক্রান্তির জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সমবেদনা জানান এবং সরকারী হাসপাতালের এম্বুলেন্স এর দালালচক্র নিয়ে সরব হন। পাশাপাশি সমাজসেবী অঙ্কুর দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন যুব কংগ্রেস নেতা গণেশ ঘোষ, স্বপন দাস ও জাকির হোসেন সহ অন্যান্যরা।

নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, এতো বড় একটা হাসপাতাল সেখানে সরকারী এম্বুলেন্স নেই, এটা কেন হবে? সরকারী এম্বুলেন্স অবশ্যই থাকা দরকার। জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের মতো অবস্থা যেন অন্য কারো না হয় এবং সরকারী এম্বুলেন্স না থাকার জন্য বেসরকারি এম্বুলেন্স এর যে চক্র তারা শোষণ করছে গরীব মানুষদেরকে। জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের পরিবারের সাথে সেই ট্রিটমেন্টই করেছে বেসরকারি এম্বুলেন্সরা। বেসরকারি এম্বুলেন্স এর রাশটা প্রশ্রয় পাচ্ছে শাসক দলের কাছ থেকে। বেসরকারি এম্বুলেন্স এর চক্রটাকে ভাঙতে হবে। সরকারের তরফ থেকে। পুলিশকে দেখতে হবে, প্রশাসনকে দেখতে হবে, স্বাস্থ্য দপ্তর কে দেখতে হবে। আমরা কংগ্রেস দলের তরফে এই ঘটনা মেনে নিতে পারি না। আমাদের দাবি, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরকারি এম্বুলেন্স থাকতে হবে এবং বেসরকারি এম্বুলেন্স যে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানুষকে যে শোষণ করছে সেটাকে বন্ধ করতে হবে।

কাঁধে বহন কাণ্ডে সমাজসেবী অঙ্কুর দাসের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে নির্মল বাবু বলেন, অঙ্কুরের গ্রেপ্তারিকেও ভালো মনে নিচ্ছেন না। অঙ্কুর দাস প্রকৃত অর্থেই সমাজসেবী। আমি যতদূর জেনেছি, অঙ্কুর দাসকে গ্রেপ্তার করার পেছনে পুলিশের উপর চাপ ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, কোতয়ালী পুলিশের ওপর একটা চাপ ছিল শাসক দলের যে অঙ্কুর দাসকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি বলেন, অঙ্কুর দাস সরল মনে নিঃস্বার্থভাবে জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের পরিবারকে সাহায্য করেছিল। অঙ্কুর দাস শাসক দলের চক্রান্তের শিকার। অঙ্কুর দাসের নিঃশর্ত মুক্তি চাইছি কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে। অঙ্কুর দাস এব্যাপারে কোন রকমভাবে দোষী নয়। প্রয়োজনে কংগ্রেসের লিগ্যাল সেল অঙ্কুর দাসকে সহযোগিতা করবে বলেও জানান নির্মল বাবু।