জলপাইগুড়িতে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত সোনালী বিশ্বাস গ্রেপ্তার

হাইকোর্ট দ্বারা পুলিসকে ভর্ৎসনার পরেই জলপাইগুড়িতে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের হিড়িক

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : এপ্রিল মাসে জলপাইগুড়ি শহরের বুকে সুইসাইড নোট লিখে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারার কারনে, তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি স্থিত সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির কাছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পুরসভার চোদ্দ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষকে। আর আজ শুক্রবার গ্রেপ্তার হলেন পালিয়ে থাকা আরও এক অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চাটার্জীর ঘনিষ্ঠ সোনালী বিশ্বাস। যদিও সোনালী বিশ্বাসের দাবি, থানায় এসে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। যদিও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সৈকত চ্যাটার্জীকে এই মূহূর্তে গ্রেপ্তার করা যাবে না সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশে। অবশ্য এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত মনোময় সরকার এখনো পলাতক।

উল্লেখ্য, গত ১লা এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ায় দম্পতির অস্বভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। মারা যান পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপিতা অপর্না ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য। ঘটনার পরেই একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানে সৈকত চ্যাটার্জী, সন্দীপ ঘোষ সহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। তাদের চাপে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এদিকে মৃত আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন। মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে উঠেছিল। বুধবার অভিযুক্ত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা যুব তৃণমূলের নেতা সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিন ধৃত সোনালী বিশ্বাসকে কোতোয়ালী থানার পুলিশ গ্রেপ্তারের পর নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরিক্ষার পর জেলা আদালতে তুলে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।

আদালতে যাওয়ার সময় সোনালী বিশ্বাস বলেন, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। দম্পতির মৃত্যুর সঙ্গে আমি যুক্ত নই। উল্টে আমার স্বামীকে পুরসভায় একাউন্টেন্ট এর চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে আমাদের থেকে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন মৃত দম্পতি ২০১৩ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *