নতুন বছরের শুরুতেই শীতের কাঁপুনিতে জমে জলপাইগুড়ি, ভিড় জমেছে চায়ের দোকানে

জলপাইগুড়ি: ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই উত্তুরে হাওয়ার কাঁপুনিতে জবুথবু গোটা জলপাইগুড়ি। কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল আর ঠান্ডায় জমাট পরিবেশে নতুন বছরের শুরুতে যেন প্রকৃতি নিজের রূপ দেখাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এমন ঠান্ডা কিছুদিন বজায় থাকবে। উত্তরের জঙ্গলের পাশ থেকে পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের ঢল যেমন শীতের আমেজ বাড়িয়েছে, তেমনই সমতলের মানুষও উপভোগ করছেন প্রকৃতির এই বদল।

গত দু’দিন ধরে জলপাইগুড়ি এবং আশেপাশের এলাকায় তাপমাত্রা নেমেছে অনেকটাই। সকালে কুয়াশার দাপটে রাস্তার দৃশ্য অস্পষ্ট, যানবাহন চলছে আলো জ্বালিয়ে। জেলায় পাহাড় থেকে নেমে আসা শীতল বাতাসে জাঁকিয়ে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শরীর গরম রাখতে কেউ আগুন পোহাচ্ছেন, কেউ আবার ভিড় করছেন স্থানীয় চায়ের দোকানে।

new year Jalpaiguri freezes in the shivers of winter

শীতের তীব্রতা আর ঠান্ডা বাতাস থেকে একটু আরাম পেতে শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানে ভিড় জমছে সকাল থেকে। গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে আসা মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এক স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস। আড্ডারত কয়েকজন জানান, এমন শীত তাঁরা বহুদিন পাননি।

উত্তরবঙ্গের বিস্তৃত জঙ্গল এবং পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। বছরের শুরুতেই দার্জিলিং, ডুয়ার্সসহ জলপাইগুড়ির বেশ কিছু জায়গায় ভ্রমণপ্রেমীরা ঠান্ডা উপভোগ করতে এসেছেন। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, নতুন করে কোনো পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসলে এই শীত আরও বাড়তে পারে।

কিছুদিন আগেও অনেকের মনে ছিল সন্দেহ—এবছর কি আদৌ শীত আসবে? বছরের শুরুতে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে উত্তুরে হাওয়া। পাহাড়ি অঞ্চলে বরফ গলছে, আর তার ঠান্ডা প্রভাব সরাসরি পড়ছে সমতলে। ফলে শীতল আবহাওয়ায় জেলাজুড়ে ফিরে এসেছে সেই কাঙ্ক্ষিত শীতের আমেজ।

জলপাইগুড়ির এই শীত শুধু জীবনযাত্রায় নয়, স্থানীয় চা দোকান, পর্যটন শিল্প এবং মানুষের দৈনন্দিন আড্ডায় এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নতুন বছরের এই শীতকে কেন্দ্র করে জেলা যেন পরিণত হয়েছে আনন্দের এক উৎসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *